ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

চকরিয়ায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে হার্ডলাইনে প্রশাসন, চলছে সেনা টহল শহর গ্রামের সকল দোকানপাট ও গনপরিবহন বন্ধ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরী এবং নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে হার্ডলাইনে রয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে সরকারি নিদের্শনার আলোকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের তত্তাবধানে প্রতিটি এলাকায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি জনপদে চলছে সেনা টহল। পাশাপাশি উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে একইসঙ্গে কাজ করছেন থানা পুলিশের একাধিক ইউনিট।

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে গত চারদিন ধরে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার বাণিজ্যিক সকল মার্কেটসহ শহর গ্রামের সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে চালু আছে ওষুধ, মুদির দোকান, কাঁচাবাজার। একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়াও উপজেলার সকল আভ্যন্তরিণ সড়কের গনপরিবহন চলাচল।

এতে কমে গেছে সর্বসাধারণের অবাদ চলাচল।

সর্বশেষ শনিবার চকরিয়া উপজেলার হারবাংয়ে জনসচেতনতা তৈরীতে এবং বাজার মনিটরিং কার্যক্রম দেখভাল করেছেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার মো.তানভীর হোসেন। ওইসময় এসিল্যান্ড তানভীর হোসেন সেনা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে হারবাং স্টেশন, বাজার এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় জনসাধারণকে সচেতনতামুলক দিকনির্দেশনা দেন।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জনসচেতনা বৃদ্ধি ও বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরির্দশন শেষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন বলেন, ঘাতক মরণব্যাধী করোনা ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বজায় এবং বিনা কারনে বাড়ির বাইরে না আসার জন্য সর্বস্থরের জনসাধারণকে পরামর্শ দেন তাঁরা।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে পৌর সদর ছাড়াও উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সমাগ্রীর দোকান ছাড়া সব ধরণের দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিনা কারণে বাড়ির বাইরে না আসার জন্য লোকজনের উপর কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাধারণ জনগনকে বিভিন্ন পরামর্শ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে উপজেলার উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। অভিযানে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা মাঠে বিরামহীন কাজ করছেন। #

পাঠকের মতামত: